প্রেস বিজ্ঞপ্তি: অদ্য ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের প্রেক্ষিতে মহেশপুর (৫৮ বিজিবি) ব্যাটালিয়ন এর যাদবপুর বিওপির তিনটি বিশেষ আভিযানিক দল কানাইডাংগা বিল সংলগ্ন সীমান্ত পিলার ৫০ হতে ৫১ পর্যন্ত রাত্রী ০১:৩০ ঘটিকা হতে ফাদ পেতে বসে থাকে। বাংলাদেশী চোরাকারবারীদের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষমান থাকা অবস্থায় চোরাকারবারীদের দেখা পাওয়া যায়নি।
এমতাবস্থায় টহল কমান্ডার নায়েব সুবেদার মোঃ আলমগীর হোসেন তার টহল দলকে ০৪:৩০ ঘটিকার দিকে পুনরায় সুবিন্যাস্ত করেন। ভোর আনুমানিক ০৫:০০ ঘটিকার দিকে ভারতের দিক হতে ২০-২২ জন চোরাকারবারী কানাইডাংগা বিলের পূর্ব হতে পশ্চিম দিকে বেশ কিছু অবৈধ মালামাল সহ অগ্রসর হতে থাকে। নায়েব সুবেদার মোঃ আলমগীর হোসেন এর সাথে থাকা টহল দল চোরাকারবারীদের ধরার উদ্দেশ্যে তাদের দিকে অগ্রসর হন এবং চোরাকারবারীদেরকে টর্চ লাইটের আলো দিয়ে নির্দিষ্ট করেন। ঘন কুয়াশা এবং আলোর স্বল্পতার কারনে স্পষ্ট দেখা না গেলেও ৬-৭ জন চোরাকারবারী অস্ত্র সহ বিজিবির পথ রোধ করে মাদক বহনকারীদের পারাপারে সহযোগিতা করার উদ্দেশ্যে বিজিবির দিকে অগ্রসর হতে থাকে। টহল কমান্ডার উক্ত দেশী অস্ত্র ধারী চোরাকারবারীদের চ্যালেঞ্জ ও সতর্ক করলে তারা কয়েকটি দেশি অস্ত্র বিজিবি টহলের দিকে ছুড়ে মারে এই পরিস্থিতিতে প্রথমে টহল কমান্ডার এক রাউন্ড ফাকা ফায়ার করেন ফায়ারের শব্দে আক্রমনকারী চোরাকারবারীরা দৌড়ে পালাতে থাকে। অপর দিকে মালামাল বহনকারী অন্যান্য ১৪-১৫ জন সদস্যরাও পালাতে থাকে। অবৈধ মালামাল আটকের উদ্দেশ্যে টহল দল আরোও দুই রাউন্ড গুলি বর্ষণ করলে চোরাকারবারীদের কয়েকজন তাদের সাথে থাকা বস্তা বিলের পানিতে ফেলে দৌড়ে পালাতে সক্ষম হয়।২। টহল দল তাৎক্ষণিক ভাবে ০৬ বস্তা এবং দীর্ঘ সময়
খোজা খুজির পর আরোও ১০ বস্তা ফেন্সিডিল, ০১টি হাসুয়া এবং ০৩ টি মোবাইল ফোন উদ্ধারে
সক্ষম হয়। টহল দল ০৮৩৪ ঘটিকায় নিরাপদে বিওপিতে প্রত্যাবর্তন করে, উক্ত ফায়ারের ঘটনায়
কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায় নাই।
৩। উপরোক্ত ঘটনাটি ইলেক্ট্রনিক্স এবং প্রিন্ট মিডিয়ায়
প্রকাশের জন্য অনুরোধ করা হলো।
-স্বাক্ষরিত-
মিডিয়া সেল
মহেশপুর
ব্যাটালিয়ন (৫৮ বিজিবি)
No comments:
Post a Comment