ঝিনাইদহ সদর:
ইহা নবগংগা নদীর উত্তর ও দক্ষিণ তীরে অবস্থিত জেলা শহর। জেলা প্রশাসনের সকল বিভাগীয় দপ্তর ও কার্যালয় এখানে আছে। এখানে একটি আধুনিক বড় হাসপাতাল, একটি মাতৃ ও শিশু সেবা সদন, একটি মহিলা মহাবিদ্যালয়সহ তিনটি মহাবিদ্যালয়, দুইটি বালিকা মাধ্যমিক ও সাতটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি ক্যাডেট কলেজ, একটি বড় ষ্টেডিয়াম, দুইটি পার্ক, একটি প্রাইমারী টিচার্স ট্রেনিং ইন্সটিটিউট এবং একটি ভকেশনাল ট্রেনিং ইন্সষ্টিটিউট আছে। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ‘ওয়াপদা’-র বিভাগীয় হেড অফিস ঝিনাইদহে অবস্থিত। দেশের সকল অঞ্চলের সংগে এই শহরের সড়ক যোগাযোগ আছে এবং এটি একটি উল্লেখযোগ্য ব্যবসা কেন্দ্র।
ঝিনাইদহ শহরের ৮ মাইল পূর্বে নবগংগা নদীর তীরে হরিশংকপুর প্রথিতযশা গণিতজ্ঞ ও বীজগণিত রচয়িতা কে.পি বসুর জন্মভূমি। ঝিনাইদহ শহরের ৩ মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে পাগলা কানাই সড়কের পাশে মুকুট রাজার ‘ঢোল সমুদ্র’ নামক প্রাচীন দীঘিটি দর্শণীয়। এই দীঘির ১ মাইল দক্ষিণে “বেড়বাড়ী” গ্রাম সাধক নিরক্ষর কবি পাগলা কানাই এর জন্মভূমি। এই গ্রামে কবির মাজার আছে এবং তার নামে একটি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে। পাগলা কানাই সড়কটি কবির স্মৃতি বহন করছে। ঝিনাইদহ শহরের ২ মাইল দক্ষিণে লাউদিয়া গ্রামে যশোর রোডের উপর “পীর দেওয়ানজী”-র আস্তানা সুপ্রসিদ্ধ। জেলা শহরের ৫ মাইল দক্ষিণে বেগবতী নদীর তীরে বিষয়খালী বাজার। এখানেই ১৯৭১ সালের ১ এপ্রিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রথম সম্মুখ সমর সংঘটিত হয়েছিল। এর উত্তরে “ঠিকানাহীনদের ঠিকানা” একটি গুচ্ছগ্রাম আছে। ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক আসাদ-উজ-জামান ভূঞার স্মৃতি বহন করছে যিনি ছিলেন এর প্রতিষ্ঠাতা। এই গুচ্ছগ্রামের কিছু উত্তরে তেঁতুলতলায় শহীদ সাংবাদিক শেখ হাবিবুর রহমানের স্মৃতিস্তম্ভ বিদ্যমান। তেঁতুলতলার পশ্চিম পাশের মায়াধরপুর গ্রামটি “রাষ্ট্রপতির পুরস্কার” এবং “জাতীয় পুরস্কার” প্রাপ্ত “মায়াধরপুর প্রগতি কৃষক সমবায় সমিতি” এর জন্য প্রসিদ্ধি লাভ করেছে। জেলা শহরের ৮ মাইল পশ্চিমে চুয়াডাঙ্গা সড়কে ‘ডাকবাংলো’ বাজার একটি উল্লেখযোগ্য ব্যবসা কেন্দ্র। এর অদূরে সাধুহাটীর সরকারী কৃষি খামারটি সুপ্রসিদ্ধ। ঝিনাইদহ পৌরসভার অন্তর্গত নবগংগা নদীর তীরের মুরারীদহ গ্রামটি সেলিম চৌধুরীর সুরম্য অট্টালিকার জন্য ইতিহাস প্রসিদ্ধ। বেগবতী তীরবর্তী নলডাংগা রাজবাড়ী ইতিহাস বিখ্যাত।
ইহা নবগংগা নদীর উত্তর ও দক্ষিণ তীরে অবস্থিত জেলা শহর। জেলা প্রশাসনের সকল বিভাগীয় দপ্তর ও কার্যালয় এখানে আছে। এখানে একটি আধুনিক বড় হাসপাতাল, একটি মাতৃ ও শিশু সেবা সদন, একটি মহিলা মহাবিদ্যালয়সহ তিনটি মহাবিদ্যালয়, দুইটি বালিকা মাধ্যমিক ও সাতটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি ক্যাডেট কলেজ, একটি বড় ষ্টেডিয়াম, দুইটি পার্ক, একটি প্রাইমারী টিচার্স ট্রেনিং ইন্সটিটিউট এবং একটি ভকেশনাল ট্রেনিং ইন্সষ্টিটিউট আছে। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ‘ওয়াপদা’-র বিভাগীয় হেড অফিস ঝিনাইদহে অবস্থিত। দেশের সকল অঞ্চলের সংগে এই শহরের সড়ক যোগাযোগ আছে এবং এটি একটি উল্লেখযোগ্য ব্যবসা কেন্দ্র।
ঝিনাইদহ শহরের ৮ মাইল পূর্বে নবগংগা নদীর তীরে হরিশংকপুর প্রথিতযশা গণিতজ্ঞ ও বীজগণিত রচয়িতা কে.পি বসুর জন্মভূমি। ঝিনাইদহ শহরের ৩ মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে পাগলা কানাই সড়কের পাশে মুকুট রাজার ‘ঢোল সমুদ্র’ নামক প্রাচীন দীঘিটি দর্শণীয়। এই দীঘির ১ মাইল দক্ষিণে “বেড়বাড়ী” গ্রাম সাধক নিরক্ষর কবি পাগলা কানাই এর জন্মভূমি। এই গ্রামে কবির মাজার আছে এবং তার নামে একটি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে। পাগলা কানাই সড়কটি কবির স্মৃতি বহন করছে। ঝিনাইদহ শহরের ২ মাইল দক্ষিণে লাউদিয়া গ্রামে যশোর রোডের উপর “পীর দেওয়ানজী”-র আস্তানা সুপ্রসিদ্ধ। জেলা শহরের ৫ মাইল দক্ষিণে বেগবতী নদীর তীরে বিষয়খালী বাজার। এখানেই ১৯৭১ সালের ১ এপ্রিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রথম সম্মুখ সমর সংঘটিত হয়েছিল। এর উত্তরে “ঠিকানাহীনদের ঠিকানা” একটি গুচ্ছগ্রাম আছে। ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক আসাদ-উজ-জামান ভূঞার স্মৃতি বহন করছে যিনি ছিলেন এর প্রতিষ্ঠাতা। এই গুচ্ছগ্রামের কিছু উত্তরে তেঁতুলতলায় শহীদ সাংবাদিক শেখ হাবিবুর রহমানের স্মৃতিস্তম্ভ বিদ্যমান। তেঁতুলতলার পশ্চিম পাশের মায়াধরপুর গ্রামটি “রাষ্ট্রপতির পুরস্কার” এবং “জাতীয় পুরস্কার” প্রাপ্ত “মায়াধরপুর প্রগতি কৃষক সমবায় সমিতি” এর জন্য প্রসিদ্ধি লাভ করেছে। জেলা শহরের ৮ মাইল পশ্চিমে চুয়াডাঙ্গা সড়কে ‘ডাকবাংলো’ বাজার একটি উল্লেখযোগ্য ব্যবসা কেন্দ্র। এর অদূরে সাধুহাটীর সরকারী কৃষি খামারটি সুপ্রসিদ্ধ। ঝিনাইদহ পৌরসভার অন্তর্গত নবগংগা নদীর তীরের মুরারীদহ গ্রামটি সেলিম চৌধুরীর সুরম্য অট্টালিকার জন্য ইতিহাস প্রসিদ্ধ। বেগবতী তীরবর্তী নলডাংগা রাজবাড়ী ইতিহাস বিখ্যাত।
শৈলকুপা উপজেলা: ইহা কুমার নদী তীরবর্তী একটি বানিজ্য কেন্দ্র এবং উপজেলা কেন্দ্র। এখানকার শাহী মসজিদ ইতিহাস প্রসিদ্ধ। মনোহরপুর কবি গোলাম মোস্তফার জন্মভূমি। গাড়াগঞ্জ কুমার নদীর তীরে একটি ব্যবসা কেন্দ্র। ‘ভাটই’ এর পশু হাটটি বেশ প্রসিদ্ধ। ঝিনাইদহ ও কুষ্টিয়া সীমান্তের মিলনস্থল শেখ পাড়া ও শান্তিডাংগায় অধুনা একটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
হরিণাকুন্ডু উপজেলা: ইহা হরিণাকুন্ডু উপজেলা প্রশাসন কেন্দ্র। এখানে ‘লালনশাহ কলেজ’ নামে একটি সরকারী কলেজ আছে।
হরিশপুর: এটা হরিণাকুন্ডু উপজেলার অন্তর্গত এবং বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহের জন্মভূমি। এখানে লালন শাহের নামে লালন একাডেমী বালিকা বিদ্যালয় অবস্থিত।
রিশখালী: হরিণাকুন্ডু উপজেলাধীন নবগংগা তীরবর্তী রিশখালী গ্রামে বিপ্লবী বাঘা যতীনের পৈতৃক বসতবাড়ী ছিল। এখানে একটি বাজার আছে।
জোড়াদহ: নীলকরদের অত্যাচারের করুণ স্মৃতি বিজড়িত গ্রাম।
কালীগঞ্জ উপজেলা: এটা চিত্রা নদীর তীরে অবস্থিত একটি উল্লেখযোগ্য বানিজ্য কেন্দ্র এবং উপজেলা প্রশাসন কেন্দ্র। এখানে একটি মহাবিদ্যালয় এবং একটি ঔষধের কারখানা আছে। এই শহরের অদূরে মোবারকগঞ্জ চিনিকল ঝিনাইদহ জেলার একমাত্র চিনিকল ও বৃহদায়তন সরকারী শিল্প প্রতিষ্ঠান। মোবারকগঞ্জে একটি রেল ষ্টেশন আছে।
বারোবাজার: এটি একটি রেল ষ্টেশন। এখানকার হাটটি বেশ বড় ও প্রসিদ্ধ। বারোবাজার বারো আউলিয়ার মাজার আছে বলে জনশ্রুতি আছে। ইহা একটি ইতিহাস প্রসিদ্ধ স্থান। বারোবাজারের ৫/৬ মাইল পূর্বের মল্লিকপুর গ্রামের শুইতলার বটগাছ এশিয়া মহাদেশের মধ্যে বৃহত্তম।
কোটচাঁদপুর উপজেলা: কপোতাক্ষ নদীর তীরে কোটচাঁদপুর উপজেলা প্রশাসন কেন্দ্র এবং একটি প্রসিদ্ধ বানিজ্য কেন্দ্র। এখানে একটি রেল স্টেশন আছে। এখানকার কৈ মাছ ও খেজুরের গুড় ও পাটালী সুবিদিত। সাবদালপুর অন্য আর একটি রেল ষ্টেশন। এই উপজেলার অন্তর্গত দত্তনগর কৃষি খামার (চুয়াডাংগা জেলার কিয়দংশ সহ) এশিয়ার বৃহত্তম কৃষি খামার বলে অনুমিত। সম্রাট আকবরের রাজত্বকালে মহেশপুর ছিল সুলতান মাঝির রাজ্যের রাজধানী। এখানে ১৭৭২ সালে পুলিশ স্টেশন এবং লর্ড লিটনের শাসনকালে ১৮৬৯ সালে পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। নীল বিদ্রোহে এই উপজেলার কৃষকদের ভূমিকা ছিল বিশেষ উল্লেখযোগ্য।
মহেশপুর উপজেলা: ইহা উপজেলা প্রশাসন কেন্দ্র। এখানে একটি মহাবিদ্যালয়, কয়েকটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং একাধিক মাদ্রাসা আছে। খোরদা খালিশপুর গ্রাম বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের পূণ্য জন্মভূমি। এই উপজেলাধীন বলুহর বাওড় ঝিনাইদহ জেলার তথা বাংলাদেশের বৃহত্তম মৎস খামার।
Conspicuous place and Trade Center
তথ্য সূত্র :
ঝিনাইদহের ইতিহাস
লেখক : মীর্জা মোহাম্মদ আল ফারুক
তথ্য সূত্র :
ঝিনাইদহের ইতিহাস
লেখক : মীর্জা মোহাম্মদ আল ফারুক
No comments:
Post a Comment