সকলকে ঝিনাইদহ ইনফো সাইটে স্বাগতম জানাচ্ছি। এই সাইটে আমরা ঝিনাইদহের ইতিহাস,ঐতিহ্য আপলোড করবো। ঝিনাইদহ জেলার ইতিহাস,ঐতিহ্য,ভ্রমন কাহিনী আপনিও দিতে পারেন। আমরা আপনার নামসহ এই সাইটে প্রকাশ করবো। আপনার লেখা আমরা প্রত্যাশা করছি। ইমেইল করুন: jhenaidahinfo@gmail.com

Sunday, June 1, 2025

ঝিনাইদহে কালীগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ।। একজন নিহত, আহত ১০ জন


ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রæপের সংঘর্ষে মহব্বত আলী (৫৫) নামে একজন নিহত হয়েছে। এসময় আহত হয়েছে কমপক্ষে ১০ জন। নিহত মহব্বত উপজেলার নাকোবাড়িয়া গ্রামের মৃত হাবিবর রহমানের ছেলে।

রোববার ভোরে উপজেলার জামাল ইউনিয়নের বড় তালিয়ান গ্রামের আব্দুল লতিফের বাড়িতে হামলার মধ্যে দিয়ে সংর্ঘের শুরু হয়। এসময় হামলাকারীরা তার বাড়ি ভাংচুর করে। এসময় বাড়ির মালিক আব্দুল লতিফ বউ এর সহযোগীতায় ঘর থেকে পালিয়ে গেলেও হামলাকারীরা বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করে। হামলাকারীরা কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির এক অংশের নেতৃত্ব দেওয়া সাইফুল ইসলাম ফিরোজের সমর্থক। অন্যদিকে হতাহতরা সবাই কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির অপর অংশের নেতৃত্ব দেওয়া হামিদুল ইসলাম হামিদের সমর্থক।

এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে উভয় গ্রæপের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এসময় বেশ কিছু বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।

কালীগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি সংঘর্ষে আহতরা হলেন নিহত মহব্বত আলী, তার ভাই ইউনুছ আলী, প্রতিবেশি রেজাউল ইসলাম, রেফাজুল এবং বড় তালিয়ান গ্রামের মিকাঈল হোসেন। এরমধ্যে মহব্বত আলী ও ইউনুছ আলীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা নেওয়ার পথে মহব্বত মারা যান। বাকিদের যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

নিহত মহব্বতের ভাগ্নে বনি আমিন মামা নিহতের ঘটনা নিশ্চিত করেছেন।


ভুক্তভোগি আব্দুল লতিফ জানান, কালীগঞ্জ উপজেলার জামাল ইউনিয়নে দির্ঘদিন ধরে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ডাক্তার নুরুল ইসলামের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। নজরুল ইসলাম উপজেলা বিএনপির একাংশের নেতৃত্ব দেওয়া হামিদুল ইসলাম হামিদের অনুসারি এবং ডাক্তার নুরুল ইসলাম উপজেলা বিএনপির অপর অংশের নেতৃত্ব দেওয়া সাইফুল ইসলাম ফিরোজের অনুসারি। সম্প্রতি কোলাবাজার দখল নিয়ে নিয়ে দুই গ্রæপের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। এরই জের ধরে রোববার ভোরে ডাক্তার নুরুল ইসলামের সমর্থকরা আমার বাড়ি হামলা করে। একই সময় প্রতিবেশি আরো কয়েক বাড়িঘরে হামলা করে ব্যপক ভাংচুর ও লুটপাট করে।

কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, এ পর্যন্ত পাঁচজন জখম রোগী হাসপাতালে এসেছিল। সবার শরীরে ধারালো দা দিয়ে কোপানো ও রড দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঢাকা ও যশোর হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।

কালীগঞ্জ থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম হাওলাদার হতাহতের সংবাদ নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী কাজ করছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।


No comments:

Post a Comment