সকলকে ঝিনাইদহ ইনফো সাইটে স্বাগতম জানাচ্ছি। এই সাইটে আমরা ঝিনাইদহের ইতিহাস,ঐতিহ্য আপলোড করবো। ঝিনাইদহ জেলার ইতিহাস,ঐতিহ্য,ভ্রমন কাহিনী আপনিও দিতে পারেন। আমরা আপনার নামসহ এই সাইটে প্রকাশ করবো। আপনার লেখা আমরা প্রত্যাশা করছি। ইমেইল করুন: jhenaidahinfo@gmail.com

Tuesday, August 2, 2022

অনলাইনে প্রেম,তার পর বিয়ে ।। আমেরিকার এলিজাবেথকে বিয়ে করে নাগরিকত্ব পেলেন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার মিঠুন

 


অনলাইনে প্রেম,তার পর বিয়ে ।। আমেরিকার এলিজাবেথকে বিয়ে করে নাগরিকত্ব পেলেন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার মিঠুন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমেই 

৮ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের এলিজাবেথ এসলিকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে মিঠুন

 বিশ্বাসের। তিন বছর পর এলিজাবেথকে বিয়েও করেন। এর পরের বছর স্ত্রীর সঙ্গে 

যুক্তরাষ্ট্রেও চলে যান মিঠুন। গত মাসে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব অর্থাৎ গ্রিন কার্ড পেয়েছেন।

অনলাইনভিত্তিক বাংলা ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মিঠুন 

বিশ্বাস ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার রাখালগাছি ইউনিয়নের 

রাখালগাছি গ্রামের বাসিন্দা। অন্যদিকে, এলিজাবেথ যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন 

সিটির বাসিন্দা।



জানা যায়, ২০১৪ সালের মাঝামাঝি দিকে ফেসবুকে মিঠুনের সঙ্গে 

এলিজাবেথের পরিচয়। সেই পরিচয়ের সূত্র ধরে দুজনের মধ্যে প্রেমের 

সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আড়াই বছর প্রেমের পর ২০১৭ সালের ২ জানুয়ারি 

এলিজাবেথ বাংলাদেশে আসেন। ৪ জানুয়ারি তাদের বাগদান হয় এবং 

৯ জানুয়ারি খুলনার শালক এজি চার্চে তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।

বিয়ের পর কিছুদিন বাংলাদেশে থেকে এলিজাবেথ যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যান। 

২০১৮ সালের ৪ জানুয়ারি আবার বাংলাদেশে আসেন। সেবারও কিছুদিন

 থাকার পর নিজ দেশে চলে যান এলিজাবেথ। তিন মাসের মাথায় 

এলিজাবেথ আবারও বাংলাদেশে এসেছিলেন। তবে এবার আর একা নয়,

 যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার সময়ে মিঠুনকেও সঙ্গে করে নিয়ে যান তিনি।



বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের জেনএনটেক আইটি কোম্পানিতে সফটওয়্যার 

ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করছেন মিঠুন। অন্যদিকে, এলিজাবেথ যুক্তরাষ্ট্রের 

ফোর্ড কার ডিলারশিপে হিসাবরক্ষক হিসেবে কর্মরত।

যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পাওয়ার বিষয়ে মিঠুন বিশ্বাস বলেন, “পাঁচ বছর 

বসবাসের পর গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পেয়েছি। আমাদের 

পরিবারে এখনও নতুন অতিথি আসেনি। আগামী বছর আসার সম্ভাবনা 

আছে। আমরা এখানে অনেক ভালো আছি।”

তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে দুজনে ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যে বসবাস 

করছি। আপাতত দেশে আসার সম্ভাবনা নেই। আমাদের জন্য সবাই

 দোয়া করবেন।”

No comments:

Post a Comment