সকলকে ঝিনাইদহ ইনফো সাইটে স্বাগতম জানাচ্ছি। এই সাইটে আমরা ঝিনাইদহের ইতিহাস,ঐতিহ্য আপলোড করবো। ঝিনাইদহ জেলার ইতিহাস,ঐতিহ্য,ভ্রমন কাহিনী আপনিও দিতে পারেন। আমরা আপনার নামসহ এই সাইটে প্রকাশ করবো। আপনার লেখা আমরা প্রত্যাশা করছি। ইমেইল করুন: jhenaidahinfo@gmail.com

Sunday, March 21, 2021

স্ত্রী এএসপি, স্বামী এসআই, ফেসবুকে ভাইরাল ছবি ও কমেন্ট

 ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে পুলিশে কর্মরত সহকারী পুলিশ সুপার ও তার স্বামী পুলিশের উপ-পরিদর্শকের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।তাদের প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন ফেসবুক ব্যবহারকারীরা। সবাই তাদের সাধুবাদ জানাচ্ছেন। সাধারণ মানুষের মন্তব্য নারীর প্রতি শ্রদ্ধাবোধ বাড়িয়ে দিয়েছে।

ফেসবুকে একটি কমেন্ট ভাইরাল হয়েছে সেটি হলো : আমি সাব-ইন্সপেক্টর উজ্জল ঘোষ। ছবিতে আমার সাথে যাকে দেখা যাচ্ছে তিনি জনাব উর্মি দেব, এসিস্ট্যান্ট সুপারিন্টেন্ডেন্ট অফ বাংলাদেশ পুলিশ (এএসপি)। পেশাগত জীবনে তিনি আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, আর ব্যাক্তিগত জীবনে তিনি আমার সহধর্মিণী। পুলিশিং পেশার ব্যাপারে যাদের একটু ধারনা আছে তারা বলতে পারবেন অবস্থানগত দিক থেকে আমার সহধর্মিণীর অবস্থান আমার থেকে কতটা উপরে। না, আমাদের বিয়ের পর আমাদের কারও চাকরি হয়নি। আমার আর আমার সহধর্মিণীর অবস্থানের এই আকাশ পাতাল পার্থক্যের তোয়াক্কা না করে এই দেবীতুল্য মানুষটা আমাকে আপন করে নিয়েছিলেন। বেহিসেবী ভালবাসা দিয়ে ভরিয়ে তুলেছেন আমার জীবন। দাম্পত্য জীবনে আমার থেকে সুখী বোধ করি আর কেউই নেই (একান্ত আমার নিজস্ব চিন্তাচেতনা)।

যখন অহরহ পোষ্ট দেখি মেয়েরা লোভী হয়, মেয়েরা বিসিএস স্বামী খুঁজে পেলে সব ছাড়তে পারে, মেয়েরা টাকা আর অবস্থান ছাড়া আর কিছু বোঝে না আমার তখন খুব হাসি পায় মায়ের জাত নিয়ে কি আমাদের চিন্তাধারা এটা ভেবে।
একজন বিসিএস কর্মকর্তা যে কিনা আমার মত একজন সামান্য মানুষকে এতটা আপন করে নিয়েছেন তিনিও তো একজন মেয়ে।
আশির্বাদ প্রার্থী।

স্বামী উজ্জ্বল ঘোষ জিতুর গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের কোতোয়ালিতে। চাকরি করেন কুমিল্লায়, পদবি এসআই। আর স্ত্রী উর্মি দেবের বাড়ি চট্টগ্রামের চন্দনাইশে। সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে আখাউড়া রেলওয়ে পুলিশে কর্মরত।জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এসআই উজ্জ্বল ঘোষ জিতু ও তার স্ত্রী এএসপি উর্মি দেবের ছবি তাদের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেন। ওই পোস্টে উজ্জ্বল ঘোষ জিতু লেখেন- পুলিশিং পেশার ব্যাপারে যাদের একটু ধারণা আছে তারা বলতে পারবেন অবস্থানগত দিক থেকে আমার সহধর্মিণীর অবস্থান আমার থেকে কতটা উপরে। না আমাদের বিয়ের পর আমাদের কারও চাকরি হয়নি। আমার আর আমার সহধর্মিণীর অবস্থানের এই আকাশ-পাতাল পার্থক্যের তোয়াক্কা না করে এই দেবীতুল্য মানুষটা আমাকে আপন করে নিয়েছিলেন।

এ বিষয়ে কুমিল্লায় কর্মরত এসআই উজ্জ্বল ঘোষ জিতু জানান, তার পৈতৃক বাড়ি ফরিদপুরের কোতোয়ালিতে। বাবা ছিলেন একজন পরিবহন ব্যবসায়ী। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি বড়। এসআই পদে যোগদান করতে তিনি ট্রেনিং শুরু করেন ২০১৮ সালে ২৭ জানুয়ারিতে। পুলিশের ট্রেনিং শেষ করেন ২০১৯ সালে। এর আগে থেকেই পরিচয় ছিল এএসপি উর্মি দেবের সঙ্গে। ২০২০ সালের ২৮ জানুয়ারিতে এসআই পদে উজ্জ্বল ঘোষ জিতুর পুলিশের চাকরি নিশ্চিত হয়। এরই মধ্যে দুইজনের মাঝে আলাপ-আলোচনা হয়। একপর্যায়ে একে অপরকে পছন্দ করেন। বিষয়টি পরিবারকে জানালে পরিবারের সদস্যরা আলাপের পর ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে সম্পন্ন করেন।

তিনি বলেন, যখন অহরহ পোস্ট দেখা যায় মেয়েরা লোভী হয়, মেয়েরা বিসিএস স্বামী খুঁজে পেলে সব ছাড়তে পারে, মেয়েরা টাকা আর অবস্থান ছাড়া আর কিছু বোঝে না- তার তখন খুব হাসি পায়, মায়ের জাত নিয়ে মানুষের কী চিন্তাধারা এটা ভেবে। একজন বিসিএস কর্মকর্তা যে কিনা একজন সামান্য মানুষকে এতটা আপন করে নিয়েছেন, তিনিও তো একজন মেয়ে।

কেটি

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এসআই উজ্জ্বল ঘোষ জিতু ও তার স্ত্রী পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার উর্মি দেব দম্পতির বিয়ে হয়েছে ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর। নিজেদের পছন্দ হলেও তাদের বিয়ে হয়েছে পারিবারিকভাবে।

তিনি বলেন, অন্যান্য পোস্টের মতো ফেসবুকে এই পোস্টটি দিয়েছিলেন। এটি এভাবে ভাইরাল হবে তা বুঝতে পারেননি। তবে বিষয়টি মানুষ পজিটিভলি নিয়েছেন। ব্যক্তিগত জীবনে অনেক সুখী বলে জানান উজ্জ্বল। তার স্ত্রীও খুব ভালো মানুষ। তার সততার কোনো কমতি নেই। একজন নগন্য মানুষকে বিয়ে করে বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি আসলেই কতটা নির্লোভ ও নিরহংকার।

এ বিষয়ে এসআই উজ্জ্বল ঘোষের নববধূ আখাউড়া রেলওয়ে সার্কেলের এএসপি উর্মি দেব বলেন, তার বাবার বাড়ি চট্রগামের চন্দনাইশে। তার বাবা একজন আইনজীবী, এক ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনিই বড়। বিসিএসের পর এএসপি পদে চাকরি জীবনের প্রথম পোস্টিং আখাউড়া সার্কেলেই। ছবিটি সে তার অফিসে এসে তুলেছিল। ছবির বিষয়ে আত্মীয়স্বজন ও সহকর্মীরা ফোন করে তাকে জানিয়েছেন।


No comments:

Post a Comment