ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বলিদাপাড়ার ওয়াফদা এলাকায় চিরকুট লিখে আত্মহত্যা করেছেন নার্সিং শিক্ষার্থী শামীমা নাসরিন (২২)। বুধবার সন্ধ্যায় শামীমা ফ্যানের সঙ্গে গামছা পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। রাতে পুলিশ মৃতদেহ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করলেও মৃত্যুর সঠিক কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছিল।
এতিম কিশোরী নিজের জীবনপ্রদীপ নিভিয়ে দিল। রেখে গেল এক টুকরো সুইসাইড নোট, যেখানে লেখা ছিল “এই পৃথিবীতে আমার কেউ নেই। যে ছিলো সে চলে গেছে। আমার আর অধিকার নেই এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার। আমার ইচ্ছের কোন দাম নেই। আমার মৃত্যু জন্য কেউ দায়ী নাহ। আমি ইচ্ছে করেই আমার এই জীবন শেষ করে দিলাম।”
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বাবা-মায়ের খোঁজ না পাওয়া শামীমাকে আড়াই বছর বয়সে লালন-পালনের দায়িত্ব নেন রাজিয়া খাতুন নামে এক নারী। সেই থেকে তিনি নিজের সন্তানসুলভ শামীমাকে মানুষ করে তোলেন। শামীমা বর্তমানে নার্সিংয়ে পড়াশোনা করছিলেন।
পালক মা রাজিয়া খাতুন বলেন, “শামীমা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবিকা পদে চাকরি করছিল। আমি তাকে ছোটবেলা থেকে লালন করেছি। মেয়েকে পড়াশোনা করিয়ে নার্সিংয়ে ভর্তি করিয়েছিলাম। কিন্তু এভাবে সে আমাদের ছেড়ে চলে যাবে, তা ভাবিনি।”
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, “শামীমার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন না পাওয়াই লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।”
(সুত্র: দৈনিক নবচিত্র)
No comments:
Post a Comment