সকলকে ঝিনাইদহ ইনফো সাইটে স্বাগতম জানাচ্ছি। এই সাইটে আমরা ঝিনাইদহের ইতিহাস,ঐতিহ্য আপলোড করবো। ঝিনাইদহ জেলার ইতিহাস,ঐতিহ্য,ভ্রমন কাহিনী আপনিও দিতে পারেন। আমরা আপনার নামসহ এই সাইটে প্রকাশ করবো। আপনার লেখা আমরা প্রত্যাশা করছি। ইমেইল করুন: jhenaidahinfo@gmail.com

Thursday, April 25, 2024

দেশে উৎপাদিত ইমিটেশন গোল্ড জুয়েলারী পণ্য’র অর্ধেকই তৈরী হচ্ছে ঝিনাইদহে ।। ভারতের বাজার টপকে দেশের অর্থনীতিতে নীরব বিপ্লব ঘটিয়ে চলেছে

ভারতের একচেটিয়া বাজার টপকে দেশের অর্থনীতিতে নীরব বিপ্লব ঘটিয়ে চলেছে দেশের সীমান্তবর্তী জেলা ঝিনাইদহের মহেশপুরের ইমিটেশন গোল্ড জুয়েলারী পণ্য। এক সময়ের শতভাগ আমদানী নির্ভরতা কাটিয়ে বর্তমানে এই শিল্পে দেশে যে ২০ শতাংশ ইমিটেশন গোল্ড জুয়েলারী তৈরী হচ্ছে তার অর্ধেকের যোগান আসছে ঝিনাইদহ থেকে। দেশীয় মার্কেটে ইমিটেশন গহনার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বছরে ঝিনাইদহ  থেকে উৎপাদিত হচ্ছে কমপক্ষে ৪০ থেকে ৫০ কোটি টাকার গহনা। প্রতি মাসে এখানে ২০ লাখ জোড়া গহনা তৈরী করছে এ শিল্পের সাথে জড়িত কারিগররা। এলাকাটি এখন ইমিটেশন পল্লী হিসাবে পরিচিত পাচ্ছে। এখানকার ৩হাজারের বেশী পরিবারে কারিগরের সংখ্যা ৬হাজারের বেশী যার অর্ধেকই নারী। কর্মসংস্থানের সুযোগ হওয়ায় ভারত সীমান্তবর্তী জেলাটিতে বদলে গেছে গ্রামীণ অর্থনীতির চিত্রও।



 ছোট ছোট দলবেঁধে বসে ছাঁচে আর ডিজাইনে কেউ কেউ গলাচ্ছেন নানা ধাতব পদার্থ, কারো মনোযোগ নকশাতে, কারো বা হাতে চলছে গয়নার চূড়ান্ত ডিজাইন। কেউ আবার পুঁতি সাজাচ্ছে কোথাও বা চলছে স্বর্ণের সোনালি রঙের কাজ। কিভাবে ১টি সাধারণ ধাতব অলংকারকে নানা আধুনিক পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে ইমিটেশন জুয়েলারিতে রুপ নিচ্ছে, সেটিও রপ্ত করেছে এই এলাকার বাসিন্দারা। শিল্পের স্বীকৃতি সহ আধুনিক যন্ত্রপাতি, কারিগরি সহায়তা আর উন্নত প্রশিক্ষণ পেলে নিজস্ব ডিজাইনের নিপুন কারুকার্য খচিত এসব গহনা দেশীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বাইরের বাজারে রপ্তানী সম্ভব। এমনটি আশা করছে ইমিটেশন গহনার মালিক, উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী আর কারিগররা ।
দেশীও উদ্যোক্তরা অবশ্য বলছেন, চীন ও ভারতের উন্নত ডিজাইন ও অলংকারের সাথে পাল্লা দিয়ে টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়লেও দিন পাল্টাচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের এসইপি প্রকল্পের সহযোগীতায় প্রশিক্ষণ আর আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে অনেকটাই বদলেছে ইমিটেশন জুয়েলারির উৎপাদনের ধরণ। তবে  আমদানী নির্ভর এই শিল্পের কাঁচামাল ও কেমিক্যাল সহজলভ্য করার দাবি ব্যবসায়ী- উদ্যোক্তাদের।

ইমিটেশন গোল্ড জুয়েলারীর একজন দক্ষ কারিগর গৃহবধু সোনিয়া খাতুন। বাড়ি বসেই গহনা তৈরীর কাজ করে মাসে ৮হাজার টাকার বেশী আয় করেন, নিজে আয় করেন ফলে অর্থের প্রয়োজন হলে স্বামী-শ^শুরালয়ে হাত পাতা বা চেয়ে থাকতে হয় না। তবে তার পেছনের গল্পটি খুব একটা সহজ ছিল না। মহেশপুরের নওদাগ্রামে বিয়ের পর স্বামী মাসুম পারভেজের সংসারে এসে দেখেন স্বামী-শ^শুরালয়ের অনেকেই গহনা তৈরীর কাজ করছে, তবে তাকে এসব কাজে উৎসাহ না দিয়ে বলা হতো ‘তুমি পারবে না, পারবে না’, পারবো না কেন এমন জেদ থেকেই সোনিয়া এখন স্বাবলম্বী আর দক্ষ কারিগর।

একই গ্রামের রেশমা বেগম তার বাড়িতে এমন গহনার কাজ করছেন গত ৭বছর ধরে। আগে সংসারের পাশাপাশি অন্যান্য কাজ করতেন তবে গহনা তৈরীর কাজ শেখার পর এখন এটিই তার নিজস্ব ব্যবসা হিসাবে দাঁড় করিয়েছেন। তার প্রতিদিনের আয় ৪শ টাকা। একটি বে-সরকারী সংগঠন থেকে পেয়েছেন নানা প্রশিক্ষণ আর সহায়তা।
আর গত ১৫ বছর ধরে স্বামী-সন্তান সহ ময়না খাতুনের পুরো পরিবার গহনা তৈরী ও কেনা-বেচার সাথে যুক্ত। অনেকগুলো কারিগরও তাদের বাড়িতে গহনা তৈরীর পেশাতে যুক্ত।
এমন গল্প শুধু সোনিয়া, রেশমা বা ময়না খাতুনের নয় মহেশপুরের ৪টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার হাজার হাজার নারীর স্বাবলম্বী হওয়ার গল্প। প্রশিক্ষন আর সহায়ক কর্মপরিবেশে কেউ হয়েছেন দক্ষ কারীগর, কেউ বা উদ্যোমী অদম্য উদ্যোক্তা আবার কেউ বা ঝানু ব্যবসায়ী, এ যেন রুপকথার এক ইমিটেশন পল্লীর গল্প।


ইমিটেশন পল্লীর ইমরান সিটি গোল্ডের কারখানা মালিক ও ব্যবসায়ী ইমরান হোসেন জানান, অসংখ্য বেকার তরুন, শিক্ষিত যুবক আর স্কুল-কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থী পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে ইমিটেশন বা সিটিগোল্ডের কারখানায় কাজ করে বাড়তি উপার্জন করছে। কেউ সংসারে সহায়তা করছে, কেউ পুরো সংসার চালাচ্ছে এমন কাজের সাথে যুক্ত হয়ে। তিনি জানান মহেশপুর উপজেলার আজমপুর, মান্দারবাড়িয়া ও নাটিমা এই ৩ ইউনিয়নের ১১টি গ্রাম ও পৌরসভা জুড়ে ইমিটেশন পল্লীর বিস্তৃতি ।
বাংলাদেশে একটা সময় ছিল যখন নারীদের গহনা বলতে মূলত স্বর্ণ বা রুপার অলংকারই বোঝানো হত। সময়ের সাথে সাথে স্বর্ণ বা রুপার দাম বেড়ে যাওয়ায় বিকল্প হিসেবে চাহিদা বাড়তে থাকে ইমিটেশন বা প্লেটিং করা গহনার। আরোহী সিটি গোল্ড হাউজের কারখানা মালিক সামাদ হোসেন জানান, আগে দেশের সর্বত্র ইমিটেশনের যে গহনা পাওয়া যেত তার বেশিরভাগই ঢাকার সাভারের ভাকুর্তা ও বগুড়ার কারিগরদের হাতে তৈরী। তবে বর্তমানে ঝিনাইদহের মহেশপুরের ইমিটেশন পল্লী দাঁড়িয়ে গেছে শক্ত অবস্থানে। কয়েক বছরের ব্যবধানে দেশে উৎপাদিত ৫০ শতাংশের বেশী ইমিটেশন জুয়েলারি এখন এই জেলাতেই তৈরী হয়। বিশেষ করে দুলের জন্য ঝিনাইদহের ইমিটেশন পল্লী বিখ্যাত দেশজুড়ে। ঢাকা, রাজশাহী, নাটোর, শেরপুর, ময়মনসিংহ, জামলপুর, সিলেট, হবিগঞ্জ সহ সারা দেশে এখানকার ইমিটেশন গোল্ড জুয়েলারী পণ্য যায় বলে জানান ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তারা ।

আলআমিন সিটি গোল্ডের মালিক আমিনুর রহমান জানান, দেশের নানা প্রান্ত থেকে পাইকার ব্যবসায়ী মহেশপুরে আসে সিটি গোল্ড বা ইমিটেশন জুয়েলারী কিনতে, আবার ফোনে বা অনলাইনে অর্ডার দিলেও তা পৌছে দেয়া হয় সেসব প্রতিষ্ঠানে। তার কারখানায় ৪জন শ্রমিক রয়েছে যাদের বেতন ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা।
 ইত্যাদি স্টোর শোরুমের ম্যানেজার মাসুদ রানা জানান, স্বল্প আয়ের মানুষ থেকে শুরু করে সমাজের উচু তালার মানুষ এই ইমিটেশন গহনা ব্যবহার করে। হাজার হাজার কোটি টাকার সেই ইমিটেশন গহনা এতোদিন প্রতিবেশী দেশ ভারতীয় কোম্পানীগুলোর দখলে ছিল। তবে এখন ভারতের বাজার কমে যাওয়ায় তারা কৌশল বদলে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি আর অটোমেশনে ইমিটেশন গহনা তৈরী করে বাংলাদেশের বাজার দখলের চেষ্টা করছে। খুব অল্প সময়ে বেশি আইটেমের গহনা তৈরি করে মার্কেটে দিচ্ছে ।


ভারতের অটোমেশন বা অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির তৈরী গহনা দেশের বাজারে আসলেও, বাজার খুব একটা দখল করতে পারছে না বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। মহেশপুর ইমিটেশন পল্লীর যশোর কালার হাউজের মালিক উদ্যোক্তা মেজবাহ উদ্দীন জানান, তারা ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে অনেক সময় ও শ্রম ব্যয় করে পর্যায়ক্রমে বাজারে নিজেদের তৈরী দেশীয় ইমিটেশনের গহনা ছাড়ার পর ভারতীয় ব্যবসায়ীরা অনেকটাই কোনঠাসা। কারণ ভারতের একটি কানের দুল দেশে বিক্রি হয় ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। সেখানে নিজেদের তৈরী একটি কানের দুল, গহনা মাত্র ২০ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া রং চটে গেলেও পরিবর্তন করে নতুন গহনা দেয়া হয়।
সেখানকার ব্যবসায়ী ইমরান হোসেন জানান, তামা, পিতল,ব্রোঞ্জ এই শিল্পের অন্যতম কাঁচামাল, যার সবই আমদানী নির্ভর। তবে বর্তমানে জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প থেকে আসছে তামা,পিতল-ব্রোঞ্জ সহ ইমিটেশন জুয়েলারী তৈরীর কিছু কাঁচামাল। ফলে এই শিল্পের বাজারে আশার আলো দেখছেন ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তারা। আমদানী নির্ভর এই শিল্পের কাঁচামাল ও কেমিক্যাল সহজলভ্য করার দাবি ব্যবসায়ীদের।


এদিকে এসব পণ্য দেশের নানাপ্রান্তে পৌছানো এবং বিক্রির সময় ট্রেনে, বাসে, মার্কেটে, হাটে-বাজারে প্রায়শ^ই পুলিশী হয়রাণীর শিকার হতে হয় বলে অভিযোগ করেন ব্যবসায়ীদের অনেকে। ফরিদপুরের ওয়াপদাহ শহর এলাকা, দৌলদিয়া-পাটুরিয়া ফেরীঘাট, ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ইমিটেশনের এসব পণ্য আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ। মেমো, ট্রেডলাইসেন্স সহ কাগজপত্র দেখালেও ছাড়তে চায় না, চোরাই বা গোল্ডের ব্যবসায়ী সহ নানা জালে হয়রাণী হতে হয়। শিল্পের স্বীকৃতি না থাকায় সম্ভবনাময় এই শিল্পের পণ্য মার্কেটে কেনা-বেঁচায় বড় ধরনের হয়রানীর শিকার হতে হয় বলে ক্ষোভ ও হতাশা ব্যবসায়ীদের ।
আমদানী নির্ভর এই ইমিটেশন গোল্ড জুয়েলারীর প্রতিযোগিতামূলক বাজারে প্রশিক্ষণ না থাকায় ইমিটেশনের ছোট গহনা বা মালামাল তৈরি করে টিকতে পারছিল না এখানকার কারিগররা,ছিল আর্থিক সংকটও। তবে গত ১যুগেরও বেশী সময় ধরে ইফাদ ও বিশ^ ব্যাংকের অর্থায়নে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন’র সহযোগীতায় স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণ, ঋণ সহায়তাসহ সার্বিক সহযোগিতায় এ সেক্টর হয়েছে অনেকটাই পরিণত। বেড়েছে গুণগতমান, সম্প্রসারিত হয়েছে দেশের বাজারও। যশোরের বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা শিশু নিলয় ফাউন্ডেশন’র তত্বাবধানে সাসটেইনেবল এন্টারপ্রাইজ প্রকল্প’র মাধ্যমে এ পরিবর্তন দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে ইতিবাচক ভুমিকা রেখে চলেছে বলে জানান যশোর শিশু নিলয় ফাউন্ডেশনের পরিচালক নাসিমা সুলতানা।

বে-সরকারী এই সংগঠনটির ইমিটেশন গোল্ড জুয়েলারী প্রজেক্টের ম্যানেজার ইমদাদুল ইসলাম জানান, আগে এসব গহনার ১’শ ভাগই ছিল আমদানী নির্ভর, চীন আর ভারতের দখলে ছিল বাজার। বর্তমানে সে পরিস্থিতি বদলে চাহিদার ২০শতাংশ বাজার দখল করতে পেরেছে দেশীয় কারিগর ও কারখানাগুলো। এর ১০ শতাংশ তৈরী হচ্ছে সাভারের ভাকুর্তা ও বগুড়া জেলাতে । বাকী ১০ শতাংশ ইমিটেশন গোল্ড জুয়েলারী তৈরী হচ্ছে ঝিনাইদহের মহেশপুরে । বছরে ৪০ থেকে ৫০ কোটি টাকার ইমিটেশন জুয়েলারী পণ্য উৎপাদন সহ হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে ঝিনাইদহের মহেশপুরের ইমিটেশন জুয়েলারী পল্লী থেকে। এই কর্মকর্তা জানান, আগে ছোট সাইজের গহনা তৈরী হলেও বর্তমানে মহেশপুরে ইমিটেশন জুয়েলারী গহনায় এসেছে গুণগত পরিবর্তন। বড় সাইজের চিক, কন্ঠচিক, সীতাহার, লকেট, চুড়ি, আংটি, মানতাশা, কানের দুল,ঝাপটা,ঝুমকা, চেইন, বেসলেট, আংটি সহ উন্নত ডিজাইনের গহনা তৈরী হচ্ছে। বিশেষ করে এখানকার কানের দুল সারাদেশে বিখ্যাত।

২০০৪ সালের দিকে দেশের সীমান্তবর্তী ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় একেবারে নিজস্ব উদ্যোগে গড়ে উঠে সিটি গোল্ড নামে ইমিটেশন জুয়েলারী কারখানা। এখন হাজার হাজার মানুষ ব্যক্তি উদ্যোগে ঘরে বসেই এই ইমিটেশন গহনা তৈরি করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করছে। বদলে গেছে সীমান্তবর্তী মানুষের জীবনযাত্রাও ।

মহেশপুরের ইমিটেশন গোল্ড জুয়েলারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন ব্যবসায়ী নেতা সাইফুল ইসলাম। তিনি জানান, দেশে ইমিটেশন জুয়েলারীর হাজার হাজার কোটি টাকার একচেটিয়া বাজার এখনো ভারত-চীনের দখলে রয়েছে। তবে ভারতের বাজার কমলেও চীনের বাজার এখনো জমজমাট। তিনি বলেন দেশীয় বাজারে নিজেদের গহনার চাহিদা বাড়ছে তবে ২৫ থেকে ৩০ পার্সেন্ট বাজারও এখনো দখল করা সম্ভব হয়নি। প্রতিযোগীতামূলক বাজারে টিকতে শিল্পের স্বীকৃতি, শিল্পের সুযোগ-সুবিধা, বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ, অটোমেশন সহ আধুনিক যত্রপাতি কিনতে সরকারী সহায়তা আর কারিগরদের সরকারী-বেসরকারী নানা প্রশিক্ষন, আমদানী নির্ভর কাঁচামালের সহজলভ্যতার সুযোগ করে দিলে ভারত-চীনের বাজার দখল করা অসম্ভব নয় বলে জানান তিনি। এদিকে গত কয়েক বছরের করোনা মহামারী, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ’র মন্দা এই শিল্পের বাজারেও প্রভাব ফেলেছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

এদিকে এই শিল্পের সাথে জড়িতদের ব্যাংকলোন, প্রশিক্ষণ সহ সর্বাত্মক সহযোগীতার আশ^াস দিয়েছেন জেলা প্রশাসন। এমন কি মন্ত্রনালয়ে যোগাযোগ করে কর্মসংস্থান সহ ইমিটেশন জুয়েলারী গহনা বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের চেষ্টা করা হবে বলে জানান ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক এসএম রফিকুল ইসলাম ।

 সুত্র: সাংবাদিক আব্দুর রহমান মিল্টন,

No comments:

Post a Comment