মেয়রের দ্বায়িত্বভার গ্রহনের দুই মাসে পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৩০ থেকে ৪৪ মাসের বকেয় বেতন ভাতা পরিশোধ শুরু করেছেন। এলপিআর এ যাওয়া কর্মচারীর বন্ধ ভাতা চালু করেছেন। শুরু করেছেন অবহেলিত রাস্তা ও ড্রেনেজ উন্নয়নের কাজ। এমন সাহসী উদ্দোগ নিয়ে পৌরবাসির সেবা শুরু করেছেন চরম আর্থিক সঙ্কটে পড়ে থাকা ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পৌরসভার নব-নির্বাচিত মেয়র সহিদুজ্জামান সেলিম। চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি ভোটে জয়ী হয়ে দ্বায়িত্বভার গ্রহন করেন সেলিম। এর আগে বিগত পাঁচ বছর মেয়র হিসাবে দ্বায়িত্ব পালন করেন জাহিদুল ইসলাম জাহিদ ওরফে জিরে। মেয়র জাহিদুল ইসলাম জিরে দ্বায়িত্বভার গ্রহনের পর থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বেতন ভাতা অনিয়মিত হয়ে যায়। এভাবে চলতে চলতে ২৫ থেকে ৪০ মাসের বেতন ভাতা বকেয়া থেকে যায়। ফলে মানবেতর জীবন কাটাতে থাকে পৌরসভার ৬৫ জন স্থায়ী ও অস্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারী। পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোটি কোটি টাকা বেতন ভাতা বাকি রেখে নির্বাচন করেন সাবেক মেয়র জাহিদুল ইসলাম জিরে।
১৮৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এক সময়ের ছোট কলকাতা খ্যাত এ পৌরসভায় স্থায়ী ৩৩ জন ও অস্থায়ী ৩২ জন কর্মকর্তা কর্মচারী রয়েছে। এদের প্রতিমাসে বেতন ভাতা বাবদ ব্যয় হয় ১৩ লক্ষাধীক টাকার মত। কিন্তু প্রতিমাসে এর থেকে বেশি বা সমপরিমাণ আয় করলেও প্রাচীন এ পৌরসভাটির এত টাকা বাকি নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কোটচাদপুর পৌরসভার এক কর্মকর্তা জানান, আমাদের মাসিক আয় ১৫ লক্ষাধীন টাকা, সাথে সরকারী অনুদান আসে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বাবদ প্রতিমাসে লাগে প্রায় ১৩ লক্ষ টাকা। এমন অবস্থায় আমাদের বেতন বকেয়া থাকার কথা নয়। কিন্তু মেয়র সাহেব এমন কেন করতেন তা বোধগম্য নয়। ইতোপূর্বের কোন মেয়রের সময় এতো খারাপ পরিবেশ হয়নি বলেও যোগ করেন তিনি।
মেয়র সহিদুজ্জামান সেলিম জানান, প্রথম শ্রেণির নাগরিকসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছি। এ লক্ষ্যে পৌরবাসির সহযোগীতা প্রয়োজন। ইতিমধ্যে পৌরসভার মধ্যে দুইটি রাস্তা ও কয়েকটি ড্রেনেজের উন্নয়ন কাজ শুরু করেছি। এছাড়া আমি আধুনিক সুযোগ সুবিধা রেখে পৌর মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার পরিকল্পনায় রয়েছে। ইতোমধ্যে পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বকেয়া বেতন ভাতা পরিশোধ শুরু করেছি।
No comments:
Post a Comment