স্বেচ্ছাব্রতী নাগরিক সংগঠন প্রত্যাশা ২০২১ ফোরামের আয়োজনে আজ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, শনিবার “মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন প্রস্তুতি ও নাগরিক সমাজের করণীয় শীর্ষক অনলাইন সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে সম্মানিত অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সদস্য অ্যাড. গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার এমপি, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশ এর প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট মশিউর মালেক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, অধ্যাপক রেজাউল করিম সিদ্দিক।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করবেন প্রত্যাশা ২০২১ ফোরাম এর চেয়ারম্যান এস এম আজাদ হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফোরামের সদস্য সচিব রুহি দাস, শামসুন নাহার আজিজ লীনা, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সচিব আতাউর রহমান মিটন ও সদস্য মাজেদুল ইসলাম আকাশ। এছাড়াও সুশীল সমাজের আরো অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ তাদের মূল্যবান বক্তব্য রাখেন।
অ্যাড. গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার এমপি বলেন, বাঙালিরা রক্ত দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছে, এখন আমরা আমাদের শ্রম ও মেধা দিয়ে দেশকে উন্নয়নের শিখরে নিয়ে যেতে হবে। বাংলাদেশকে একটি উন্নয়রেন রুল মডেল হিসেবে দাঁড় করাতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
অধ্যাপক রেজাউল করিম সিদ্দিক বলেন, যে স্বপ্ন নিয়ে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম , সেই স্বপ্নগুলো যদি আমরা বাস্তবায়ন করতে না পারি তাহলে আমাদের অর্জনগুলো প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সুতারাং আমরা কোন প্রশ্নবিদ্ধ স্বপ্ন দেখতে চাই না। এজন্য আমাদের দেশকে ভালবাসতে হবে। দেশকে এগিয়ে নেয়ার জন্য, সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
অ্যাড. মশিউর মালেক বলেন, বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে গেছে, আমরা যে দারিদ্র্য দূরীকরণের কথা বলছি, সেই স্বপ¦ পূরণে আমরা আর খুব বেশি দূরে নয়।
এছাড়াও বক্তারা বলেন, আমরা সকলেই জানি যে ২০২০ সালে পালিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু জন্মশতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে উদযাপিত হবে মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সবসময় ক্ষুধা-দারিদ্র্য ও বৈষম্যমুক্ত একটি স্বনির্ভরশীল স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছিলেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজেও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের কথা বলেছেন। আগামী ২০২১ সালে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপিত হবে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, যে জাতির সন্তানেরা রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করতে পারে, তাদের পক্ষে দারিদ্র্যও দূর করা সম্ভব। সেই বিশ্বাস ও প্রেরণা থেকেই আমরা বিশ্বাস করি, স্থানীয় সরকার, প্রতিষ্ঠান সমূহের সক্রিয় নেতৃত্ব যথাযথ পরিকল্পনা ও উদ্যোগ গ্রহণ করলে বঙ্গবন্ধুর সেই ক্ষুধাদারিদ্র্য ও বৈষম্যমুক্ত একটি স্বনির্ভরশীল স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব। এজন্য আমাদেরকে ইউনিয়ন ভিত্তিক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। প্রতিটি ইউনিয়নকে এখন থেকেই মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব উদযাপনের জন্য প্রস্তুতি নেয়া শুরু করতে হবে। প্রতিটি ইউনিয়নকে যদি আমরা দারিদ্র্যমুক্ত করতে পারি তাহলে আমাদের দেশ দারিদ্র্যমুক্ত হবে। আমরা এখনো প্রত্যাশা করি ২০২১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপিত হবে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশে।
নাইচ আর্টিকেল ধন্যবাদ
ReplyDelete