আমরা সবাই জানি কবর হলো মৃত মানুষের জন্য। তবে যদি বলা হয় যে কবরে জলজ্যান্ত মানুষও বসবাস করে তাহলে সত্যিই বিস্ময়কর মনে হবে বিষয়টি!আমরা সবাই জানি কবর হলো মৃত মানুষের জন্য। তবে যদি বলা হয় যে কবরে জলজ্যান্ত মানুষও বসবাস করে তাহলে সত্যিই বিস্ময়কর মনে হবে বিষয়টি!
এমন একটি বিস্ময়কর ঘটনা ঘটেছে সার্বিয়াতে। দেশটির ব্রাটিসলেভ স্টোজানোভিক নামে এক ব্যক্তি নাকি বসবাসের জন্য কবরকেই বেছে নিয়েছেন!
ওই ব্যক্তি চারদিকে গাঢ় অন্ধকারে একলা মানুষ শুধু একটা মোমবাতি নিয়ে খোলা আকাশের নিচে শত শত কবরের মাঝখানে ঘুমিয়ে পড়েন! এটাই নাকি তার থাকার স্থান!সার্বিয়ার স্টোজানোভিক পেশায় একজন নির্মাণ কর্মী ছিলেন। পূর্বে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে থাকলেও গত ১৫ বছর ধরেই তিনি শহরের একটি গণকবরে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন!কেনো এমন বিস্ময়কর জীবন যাপন? এ সম্পর্কে স্টোজানোভিক বলেছেন, আমার কাছে এটি খুবই স্বাভাবিক একটি বিষয়। আমার প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো ডাস্টবিন ও রাস্তা হতে সংগ্রহ করতে হয়। অনেক কিছুই আমার নেই, তবে যা রয়েছে তা যথেষ্টই মূল্যবান বলে আমি মনে করি।স্টোজানোভিক বলেন, “পরিত্যক্ত বাড়িতে আলোর ব্যবস্থা করতে মোমবাতি কুড়োনোর সময় একটি কবর দেখেই হঠাৎ করে মাথায় কবরে বসবাস করার চিন্তা চলে আসে। যেই চিন্তা সেই কাজ। বাস শুরু করে দিই কবরের মধ্যে বসবাস।”
স্টোজানোভিক আরও জানান, প্রথমে খোলা জায়গাতেই ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। তবে পরে শীতের প্রকোপের কারণে কবরের একেবারে ভেতরে ঢুকে পড়েন বলে লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন। কবরগুলোকে দেখতে তেমন কেও আসে না উল্লেখ করে তিনি জানান যে, “৬ বছর পূর্বে মাকে দেখেছি। বাবা মারা যাওয়ায় ছেলেবেলাতেই মা ফের বিয়ে করেন এবং আমাকে ছেড়ে চলে যান। আবর্জনায় পরিপূর্ণ ২ গজেরও কম একটি সিমেন্টের কবর এবং একটি পুরনো মাদুরের তৈরি বিছানাই এখন স্টোজানোভিকের একমাত্র সম্বল।
তার এই কবরে বসবাস সম্পর্কে স্টোজানোভিক গর্ববোধ করে বলেন, “আমি তো ভিক্ষুক নই। প্রয়োজনীয় সবকিছুই আমি রাস্তায় কুড়িয়ে পাই।”
অবশ্য তিনি স্বীকার করেন যে, “যখন আমি নতুন জামা গায়ে দিই তখন অনেক প্রশান্তি লাগে।” গীর্জা স্টোজানোভিকের সবচেয়ে পছন্দের স্থান। তবে কখনও গীর্জার ভেতরে ঢোকেন না স্টোজানোভিক।

No comments:
Post a Comment