স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আরো দুইটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি চলাকালীন আরো একটি নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুসারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ১২৫২ জনকে নিয়োগ দেয়া হবে। আবেদন করতে হবে অনলাইনে (ক্লিক) ওয়েবসাইটে। সম্পূর্ণ বিজ্ঞপ্তি বিস্তারিত দেয়া হল।
বিস্তারিত বিজ্ঞাপন দেখতে নিচে ক্লিক করুন
পদের নাম : ফর্মাসিষ্ট (ডিপ্লোমা)
পদ সংখ্যা : ৬২৭টি
শিক্ষাগত যোগ্যতা : কোন স্বীকৃত ইনষ্টিটিউট থেকে ফার্মেসীতে ডিপ্লোমা ডিগ্রী।
বয়সসীমা : ১৮-৩০ বছর, মুক্তিযোদ্ধা কোটার ক্ষেত্রে ৩২ বছর
বেতন স্কেল : ১২,৫০০-৩০,২৩০ টাকাবিস্তারিত বিজ্ঞাপন দেখতে নিচে ক্লিক করুন
পদের নাম : হেলথ এডুকেটর
পদ সংখ্যা : ০১
শিক্ষাগত যোগ্যতা : বিজ্ঞান ও জীববিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতকোত্তর বা সমমান ডিগ্রি
বয়সসীমা : ১৮-৩০ বছর, মুক্তিযোদ্ধা কোটার ক্ষেত্রে ৩২ বছর
বেতন স্কেল : ১২,৫০০-৩০,২৩০ টাকা
পদের নাম : সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর
পদ সংখ্যা : ০৬
শিক্ষাগত যোগ্যতা : এইচএসসি বা সমমান পাস
অন্যান্য যোগ্যতা : ওয়ার্ড প্রসেসিং, ডাটা এন্ট্রি, টাঈপিং-এ শব্দের গতি প্রতি মিনিটে বাংলা ও ইংরেজিতে যথাক্রমে ২৫ ও ৩০
বয়সসীমা : ১৮-৩০ বছর, মুক্তিযোদ্ধা কোটার ক্ষেত্রে ৩২ বছর
বেতন স্কেল : ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা
পদের নাম : পরিসংখ্যানবিদ
পদ সংখ্যা : ২৭
শিক্ষাগত যোগ্যতা : পরিসংখ্যান, গণিত, অর্থনীতি বিষয়ে স্নাতক বা সমমান ডিগ্রি
অন্যান্য যোগ্যতা : কম্পিউটার চালনায় দক্ষ
বয়সসীমা : ১৮-৩০ বছর, মুক্তিযোদ্ধা কোটার ক্ষেত্রে ৩২ বছর
বেতন স্কেল : ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা
পদের নাম : টেকনিশিয়ান
পদ সংখ্যা : ০১
শিক্ষাগত যোগ্যতা : রিফ্রিজারেশন বা এয়ার কন্ডিশনিং ট্রেডে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (ভোকেশনাল)
বয়সসীমা : ১৮-৩০ বছর, মুক্তিযোদ্ধা কোটার ক্ষেত্রে ৩২ বছর
বেতন স্কেল : ৯,৭০০-২৩,৪৯০ টাকা
পদের নাম : টেকনিশিয়ান
পদ সংখ্যা : ০১
শিক্ষাগত যোগ্যতা : জীববিজ্ঞান বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমান
বয়সসীমা : ১৮-৩০ বছর, মুক্তিযোদ্ধা কোটার ক্ষেত্রে ৩২ বছর
বেতন স্কেল : ৯,৭০০-২৩,৪৯০ টাকা
পদের নাম : স্বাস্থ্য সহকারী
পদ সংখ্যা : ৫৪৮
শিক্ষাগত যোগ্যতা : উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমান
বয়সসীমা : ১৮-৩০ বছর, মুক্তিযোদ্ধা কোটার ক্ষেত্রে ৩২ বছর
বেতন স্কেল : ৯,৭০০-২৩,৪৯০ টাকা
পদের নাম : অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক
পদ সংখ্যা : ১৫
শিক্ষাগত যোগ্যতা : এইচএসসি বা সমমান পাস
অন্যান্য যোগ্যতা : ওয়ার্ড প্রসেসিং, ডাটা এন্ট্রি, টাঈপিং-এ শব্দের গতি প্রতি মিনিটে বাংলা ও ইংরেজিতে ২০
বয়সসীমা : ১৮-৩০ বছর, মুক্তিযোদ্ধা কোটার ক্ষেত্রে ৩২ বছর
বেতন স্কেল : ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা
পদের নাম : স্টোর কিপার
পদ সংখ্যা : ৪৫
শিক্ষাগত যোগ্যতা : উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট বা সমমান
বয়সসীমা : ১৮-৩০ বছর, মুক্তিযোদ্ধা কোটার ক্ষেত্রে ৩২ বছর
বেতন স্কেল : ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা
পদের নাম : ওয়ার্ড মাস্টার
পদ সংখ্যা : ০১
শিক্ষাগত যোগ্যতা : উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমান
বয়সসীমা : ১৮-৩০ বছর, মুক্তিযোদ্ধা কোটার ক্ষেত্রে ৩২ বছর
বেতন স্কেল : ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা
পদের নাম : ল্যাবরেটরি অ্যাটেনডেন্ট
পদ সংখ্যা : ১০
শিক্ষাগত যোগ্যতা : মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমান
বয়সসীমা : ১৮-৩০ বছর, মুক্তিযোদ্ধা কোটার ক্ষেত্রে ৩২ বছর
বেতন স্কেল : ৮,৫০০-২০,৫৭০ টাকা
আবেদনের সময়সীমা : ৩১ অক্টোবর ২০১৮ পর্যন্ত আবেদন করা যাবে।
আবেদন যেভাবে করবেন: আবেদন করতে হবে অনলাইনে। http://dghsp.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদনপত্র পাঠাতে হবে। অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ ও পরীক্ষার ফি জমা দেয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে ৮ অক্টোবর থেকে। আবেদন জমা দেয়ার শেষ সময় ৩১ অক্টোবর বিকেল ৪টা। অনলাইনে আবেদন জমা দেয়ার সময় থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে পরীক্ষার ফি জমা দিতে হবে। আবেদনপত্রের যথাস্থানে ৩০০ বাই ৩০০ পিক্সেলের ছবি এবং ৩০০ বাই ৮০ পিক্সেলের স্বাক্ষর স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে। অনলাইনে জমা দেয়া আবেদনের একটি কপি প্রিন্ট ও ডাউনলোড করে সংরক্ষণ করে করতে হবে। আবেদন সাবমিট করার পর ইউজার আইডি ব্যবহার করে টেলিটক প্রিপেইড মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে ল্যাবরেটরি অ্যাটেনডেন্ট পদের জন্য মোট ৫৬ টাকা এবং অন্য সব পদের জন্য ১১২ টাকা আবেদন ফি পরিশোধ করতে হবে।
যা যা লাগবে: ওয়েবসাইটে (ক্লিক) জানা যাবে প্রবেশপত্র প্রাপ্তির দরকারি সব তথ্য। এ ছাড়া প্রার্থীর দেওয়া মোবাইল নম্বরে এসএমএসেও জানানো হবে। এসএমএসে প্রেরিত ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে পরবর্তী সময়ে রোল নম্বর, পদের নাম, ছবি, পরীক্ষার তারিখ, সময় ও পরীক্ষাকেন্দ্রের তথ্যসহ প্রবেশপত্র ডাউনলোড দিয়ে রঙিন প্রিন্ট করে নেয়া যাবে। প্রবেশপত্রটি লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় সঙ্গে রাখতে হবে। সব পদের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষায় বসার আগে জমা দিতে হবে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। সব শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্রের কপি, নাগরিকত্ব সনদ, চারিত্রিক সনদ, মুক্তিযোদ্ধা কোটার ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা সনদ, প্রতিবন্ধী কোটার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী সনদ প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত করে জমা দিতে হবে। মৌখিক পরীক্ষার দিন সব সনদের মূল কপি সঙ্গে রাখতে হবে।
পরীক্ষা পদ্ধতি: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রশাসন বিভাগ সূত্রে ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নিয়োগবিধি অনুসারে জানা যায়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির নিয়োগ পরীক্ষায় মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা নেয়া হয়। এর মধ্যে ৮০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা এবং ২০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা নেয়া হতে পারে। এমসিকিউ পদ্ধতিতে লিখিত পরীক্ষা হয়ে থাকে। পদ অনুসারে করা হয় প্রশ্নপত্র। লিখিত পরীক্ষায় সাধারণ জ্ঞান, বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। প্রতিটি বিষয়ে বরাদ্দ থাকে ২০ নম্বর। প্রতিটি প্রশ্নের মান থাকে ১ নম্বর। টেকনিক্যাল পদের জন্য বিষয়সংশ্লিষ্ট প্রশ্ন থাকে। কম্পিউটার অপারেটর পদের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের জন্য বসতে হবে টাইপিং টেস্ট বা ব্যবহারিক পরীক্ষায়। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ডাকা হবে মৌখিক পরীক্ষার জন্য।
পরীক্ষার প্রস্তুতি: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, পদের বিপরীতে চাওয়া শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুসারে প্রশ্ন করা হবে। স্নাতক ও এইচএসসি পাস যোগ্যতা চাওয়া সব পদে শিক্ষা বোর্ড নির্ধারিত অষ্টম শ্রেণি থেকে শুরু করে এইচএসসির বাংলা, ইংরেজি, গণিত বই থেকেই বেশি প্রশ্ন করা হয়। সপ্তম-অষ্টম শ্রেণির নতুন ও পুরনো সিলেবাসের পাটিগণিত ও বীজগণিত বইও দেখতে হবে।
এছাড়াও স্বাস্থ্য সহকারী পদে বেশি প্রশ্ন করা হয় অষ্টম-দশম শ্রেণির বই থেকে। এসব বইয়ের বাংলা অংশ থেকে ব্যাকরণের সন্ধি, কারক, সমাস, এককথায় প্রকাশ, ণত্ব বিধান, ষত্ব বিধানসহ বেশ কিছু টপিক থেকে প্রশ্ন আসে। সাহিত্য অংশ থেকে গদ্য ও পদ্য থেকে প্রশ্ন করা হয়।
ইংরেজিতে ট্রান্সলেশন, টেনস, ভার্ব, প্রিপজিশন, সিনোনিম, অ্যান্টোনিম ইত্যাদি বিষয়ে ভালো দখল থাকতে হবে। গণিতে ভালো করতে হলে পাটিগণিতের সরল, সুদকষা, শতকরা, ঐকিক নিয়ম এবং বীজগণিতের সূত্র, সেট, উৎপাদক বিষয়ে ভালো দক্ষতা থাকতে হবে। প্রশ্ন আসে জ্যামিতি অংশ থেকেও।
সাধারণ জ্ঞানের মধ্যে থাকে রসায়ন, জীববিজ্ঞানের প্রশ্নসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ইস্যুর তথ্যভিত্তিক প্রশ্ন। স্বাস্থ্য সহকারী পদে এসব বিষয়ে জোর দিলে পরীক্ষায় ভালো করা যাবে।
স্বাস্থ্য সহকারী পদের বিগত নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন দেখতে হবে। এতে পরীক্ষা পদ্ধতি সম্পর্কে ভালো ধারণা পাওয়া যাবে। বিভিন্ন প্রকাশনীর প্রস্তুতিমূলক বই পাওয়া যায়। সহায়ক হতে পারে এসব বই। বাজারে সাধারণ জ্ঞানের বেশ কিছু বই পাওয়া যায়। ভালো মানের একটি-দুটি বই থেকে প্রস্তুতি নিতে পারেন। এসএসসি পাস চাওয়া বা টেকনিক্যাল পদগুলোর জন্যও নবম-দশম শ্রেণির পাঠ্য বই ও ট্রেডসংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। প্রস্তুতি নেওয়া যাবে অষ্টম থেকে দশম শ্রেণির বই পড়ে। অষ্টম শ্রেণি পাস চাওয়া পদের জন্য পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির বইগুলো পড়তে হবে। কারিগরি বা বৃত্তিমূলক পদগুলোর বিষয়ে ভালো অভিজ্ঞতা রাখতে আপডেট থাকতে হবে সংশ্লিষ্ট কাজের বিষয়ে।

No comments:
Post a Comment