সকলকে ঝিনাইদহ ইনফো সাইটে স্বাগতম জানাচ্ছি। এই সাইটে আমরা ঝিনাইদহের ইতিহাস,ঐতিহ্য আপলোড করবো। ঝিনাইদহ জেলার ইতিহাস,ঐতিহ্য,ভ্রমন কাহিনী আপনিও দিতে পারেন। আমরা আপনার নামসহ এই সাইটে প্রকাশ করবো। আপনার লেখা আমরা প্রত্যাশা করছি। ইমেইল করুন: jhenaidahinfo@gmail.com

Saturday, September 29, 2018

ঝিনাইদহে হারিয়ে যাচ্ছে হেরিটেজ ভবনগুলো

ঝিনাইদহ জেলার হেরিটেজ ভবনগুলো রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ধ্বংস হয়ে গেলেও সংরক্ষণে সরকারি কোনো উদ্যোগ নেই। কোটচাঁদপুরে সাহেব বাড়ি ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে এখনও টিকে আছে। বর্তমানে এটি কোটচাঁদপুর হাইস্কুলের প্রধান ভবন। ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় পরিত্যক্ত হয়ে গেছে। তত্কালীন ভালো সাহেবদের অন্যতম ছিলেন কোটচাঁদপুরের ম্যাকলিউড পরিবার। তারা আয়ারল্যান্ড থেকে এদেশে আসেন। তারা তিন ভাই ছিলেন উচ্চ শিক্ষিত। পৌরসভা স্থাপন থেকে শুরু করে কোটচাঁদপুরের উন্নয়নে তাদের অবদান স্থানীয় মানুষ আজো স্মরণ করে। তারা বসবাসের জন্য ভবনটি তৈরি করেন। বড় সাহেব বাড়ি অনেক আগে ধ্বংস হয়ে গেছে। ছোট সাহেব এখনও টিকে আছে। পরে কোটচাঁদপুর হাইস্কুল এ ভবনে স্থানান্তর করা হয়। ভবনের কাঠামো এখনও ঠিক আছে। এ ভবন সংস্কার করার মতো অর্থ স্কুলের নেই। তাই ধীরে ধীরে এ ভবনটি ধ্বংস হতে চলেছে।



মহেশপুর উপজেলার খালিশপুর নীলকুঠি ইতিহাসের সাক্ষী হিসাবে এখনও টিকে আছে। দোতলা এ কুঠিবাড়ি ধীরে ধীরে ধ্বংসের পথে। কয়েক একর জায়গার উপর এ কুঠি স্থাপন করা হয়। নীল ব্যবসার পতন হলে সাহেবরা দেশ ছাড়ার সময় এ কুঠি বাড়ি স্থানীয় এক জমিদারের কাছে বিক্রি করে যান। ’৪৭ সালে দেশভাগের পর জমিদাররাও দেশত্যাগ করেন। কুঠিটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। এটি এখন সরকারি সম্পত্তি। এখনও এ কুঠিটি সংস্কার করে আকর্ষণীয় করার সুযোগ আছে।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হরিশংকরপুর গ্রামে বিখ্যাত বীজগণিতবিদ কেপি বসুর বাড়িটি অযত্ন অবহেলায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ব্রিটিশ আমলে তিনি ঢাকা কলেজের গণিতের অধ্যাপক ছিলেন। ১৯০৭ সালে নিজ গ্রামে এক প্রাসাদোপম ভবন নির্মাণ করেন। ১৯১৪ সালে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। ছেলেরা কলকাতায় স্থায়ীভাবে বসবাস করতে থাকেন। বাড়িটি দেখাশুনার কেউ থাকে না। হেরিটেজ ভবন হিসাবে এটি রক্ষা করা প্রয়োজন।

ঝিনাইদহ শহরের মুরাহিদহ গ্রামে সেলিম চৌধুরীর বাড়িটি একটি দর্শনীয় ভবন। সাত বছর ধরে ১৮২২ সালে ৭৫ হাজার টাকা ব্যয়ে এ ভবনটি নির্মাণ করেন। সেলিম চৌধুরী স্ত্রী আশরাফুন্নেছা বেগমের নামে এটির নামকরণ করেন। অপরূপ কারুকার্য খচিত এ ভবনটি হেরিটেজ ভবনের মর্যাদা পাওয়ার যোগ্য। একই ভাবে ধ্বংসের পথে মহেশপুর উপজেলার সুন্দরপুর জমিদার বাড়ি। ঝিনাইদহ শহরের নবগঙ্গা নদী তীরবর্তী ব্রিটিশ আমলে তৈরি অফিস আদালত ভবনগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে। শুধু দেওয়ানী ভবনটি টিকে আছে। এটিও সংরক্ষণের অভাবে এখন ধ্বংসের পথে।  োে

No comments:

Post a Comment